১৮ মে ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতপাখা বিক্রেতার মৃত্যু মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি!
ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আ’বরা’র ফাহাদ হ’ত্যা’কাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি।আজকের ক্রাইম নিউজ পাঠকদের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-
আমার সন্তানের হাতের যে জায়গাটা তোমাদের আঘাতে আঘাতে নীল হয়ে আছে। তোমরা জানো বাবারা? ঠিক ওখানটাতেই ওকে ধরে আমি স্কুলে নিয়ে যেতাম।ওই যে তোমাদের কিল ঘুষিতে ও অমন করে চোখ বন্ধ করে আছে। বাবা তোমরা কি জানো? ও ঘুমুলেই আমি চোখে চুমু খেতাম, চাইতাম আরেকটু ঘুমিয়ে থাকুক।

কিন্তু… কিন্তু তোমারা তো ওকে চিরতরে ঘুম পারিয়ে দিলে। যখন আমার উদরে ঢিবঢিব করে উঠেছিল একটা প্রাণ- দশমাস সে কী দূর্বিষহ যন্ত্রণা, তার পর কত নির্ঘুম রাত, তবুও যখন ওর মুখটা দেখলাম সব কষ্ট কোথায় যেন উড়ে গেলো!
আমার মনে ঘুরে বেড়াতো ঝলমলে সব স্বপ্ন, একদিন আমার ছেলেটা বিশ্বজয় করবে। তোমরা বুঝি জানতে আমার স্বপ্ন …? তাইতো মৃত্যু পরওয়ানা দিয়ে সারা দেশ জুড়ে জানিয়ে দিলে আমার সন্তানের নামটা..?আচ্ছা বাবারা মৃত্যুর সময় ওর কেমন লেগেছিল? আমার বাবা কি পানি খেতে চেয়েছিল? তোমারা কী কেউ ওর বুকের উপরে উঠেছিলে?

ওর মাথায় বাড়ি দিয়েছিলে রড দিয়ে? আহা!! বাবা আমি যদি একবার জানতাম.. বলতাম আমায় টুকরো টুকরো করে ফেলো কিন্তু আমার মানিককে আর মেরো না। ছোট্ট ছেলেটা আমার অন্ধকার বড্ড ভয় পেত, যদি এতটুকু করুনা হত তোমাদের, যদি তোমরা মানুষ হতে… বলতাম মেরো না.. আর মেরো না।

ওই গালে আমার অনেক চুমু, ঐ মুখে আমি কত নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছি, ঐ পিঠে সাবান দিয়ে গোসল করিয়েছি আমি, কত জড়িয়ে ধরেছি বুকে, মরে যাচ্ছে আমার ছেলেটা। বাবারা দোহাই লাগে- আর মেরো না.. মেরো না…

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019